ভালোবাসার গল্প

আদিবা তখন ইন্টারে পড়তো। আর আমি অর্নাসে।একই ভার্সিটিতে দুজন পড়তাম।
মেয়েটাকে সেই প্রথম যেদিন দেখছিলাম,সেইদিনথেকে আমি ওর প্রেমে পড়ে গেলাম। মেয়েটাকেদেখলে বুকের ভিতর কেমন জানি করতো। প্রায়প্রতিদিন আদিবাকে দেখার জন্য ভার্সিটিতেআসতাম
আদিবার সাথে এখনো কথা হয়নি। সুধু দূর থেকেদেখতাম। অনেক রাগ মেজাজি ছিলো মেয়েটি।কোনো ছেলে ওর সাথে কথা বলতে আসলে খুবরাগ কন্ঠে ওদের কথা শোনায়। কোনো কথা নাবলেও যে ছেলে আসেসেই ছেলে চলে যায়।আমিও সেই ভয়ে আদিবার সামনে যেতাম না। আমিযে ভালোবাসি আদিবাকে। সেই কথা আদিবাকেবললে না জানি কি করবে। সেই ভয়ে সামনে গিয়েএসব বলার সাহস পেতাম না।
অনেকদিন এভাবে চলে যায়। আমার মনে জমানোসেই কথা গুলো আদিবাকে বলা হয়নি। একদিনঠিক করেই ফেললামএইদিন আদিবাকে আমারমনের কথা জানাবো। ভয়ে ভয়ে আদিবার সামনেগিয়ে দাড়ালাম। বুক ধকধক করছে। অনেক ভয়েভয়ে বলেই ফেললাম
আপনার সাথে কিছু কথা আছে।আমি)
জানা মতে আমার সাথে আপনার কোনো জরুরিকথা নেই।(আদিবা)
প্লিজ একটু শোনবেন কি? (আমি)
আচ্ছাযা বলার বলেই দিন। (আদিবা)
আমি আপনাকে ভালোবাসি অনেকদিন থেকেকিন্তু ভয়ে বলতে পারিনি।আমি)
হা হা হা এই কথাকেন আমাকে ভয় পেতে?(আদিবা)
হ্যাঁ এইকথাআর আপনাকে ভয় পেতাম অনেকছেলেকে আপনি বকা দিতেন আমি দূর থেকেদেখতামসেই ভয়ে বলিনি।আমি)
আচ্ছা ভেবে দেখবো এখন চললাম।(আদিবা)
আদিবা যাওয়ার সাথে সাথে পানি পান করলাম।বুকের ভিতর ভুমিকম্প চলছিলো। কি জানি আজকত কথা শোনাবে আমাকে। কিন্তু কোনো কথাশোনায়নি। সেইদিন কথা বলে একটু সাহস পেলামআদিবার সামনে যাওয়ার।
পরেরদিন ভার্সিটির একটি গাছের নিছে বসে আছি।আদিবা কখন আসবে অপেক্ষা করছি। এই তোদেখতে পাচ্ছি আদিবা আসছে। খুব সুন্দর লাগছেআদিবাকে। আমি সামনে গিয়ে দাড়ালাম।
কি ভাবা হয়েছে? ( আমি)
হয়েছে।আদিবা)
বলে দাউ। (আমি)
দেখেন আমি মধ্য বিত্ত পরিবারের মেয়ে। মা বাবারসপ্ন পুরন করতে হবে আমাকে। আমি এখন এইসবনিয়ে কোনো ঝামেলায় পড়তে চাইনা। আমার মাবাবা অনেক কস্ট করে আমাকে লেখাপড়াকরাচ্ছেন। আমি ওনাদের সপ্ন নস্ট করতে চাইনা।এইসবে নিজেকে জড়ালে অনেক চিন্তা ভাবনাথাকবে। আর সেই চিন্তায় আমার পড়ালেখার ক্ষতিহতে পারে। তাই আপনাকে এটা বলিএইসব আমারপক্ষে সম্ভব না। (আদিবা)
আচ্ছা চললাম।আমি)
ভাবলাম কিছুই বলার নেই আমার। তাই প্রথমে ওরলেখাপড়া ভালোভাবে হতে হবে। মনে মনে ভাবলামআজ থেকে ওর লেখাপড়ার খরচ আমি চালাবো।আদিবার মা বাবার সাথে কথা বললাম। ওনারাওরাজি হয়েই যান। প্রত্যেক মাসে আমি টাকা দেই।আদিবা এভাবে প্রত্যেক মাসে মাসে ওর সব কিছুরখরচ সঠিক সময়ে চালানো দেখে অভাক হয়ে যায়
মা বাবা তো খুব কস্ট করে টাকা দিতেন। মাস শেষহওয়ার আগে অনেক চিন্তা করতেন। কিন্তু এখনকোনো চিন্তা নেই। হটাৎ একদিন মা বাবাকে প্রশ্নকরে আদিবা।
তোমরা মাস শেষ হওয়ার আগে অনেন চিন্তিতথাকতে আমার সব কিছুর খরচ নিয়ে। কিন্তু এখনকোনো চিন্তা করোনামাস শেষ হওয়ার সাথেআমার সব কিছুর বেতন দেওয়া হয়ে যায়।(আদিবা)
আমি বেতন একটু আগে পেয়ে যাই। (আদিবারবাবা)
এখন আমাদের পরিবার অনেক ভালো চলছেতোমার মালিক একটু বেতনের টাকা বাড়িয়েছে কি?(আদিবা)
নাতবে বাড়াবে।আদিবার বাবা)
পড়ালেখা করে আদিবা একদিন প্রতিস্টিত হয়। সেএখন তার নিজের পরিবারের দায়িত্ব নিজে বহনকরতে পারবে। সে এখন প্রতিস্টিত একজন মেয়ে।
একদিন আদিবার বাবা মা আদিবাকে বললেন।আদিবা তোমার জন্য পাএ দেখা শেষ। আদিবাকোনো কিছু বলেনা। আবার আদিবার মা বললেনছেলেটাকে কাল আমাদের বাড়িতে আসার জন্যবলবো।
আমাকে আদিবার বাবা ফোন দিয়ে বলে দেন। কালআমি যেন ওনাদের বাড়িতে যাব। রাত কাঠিয়েসকাল হয়ে যায়। আমি রেডি হয়ে বের হয়েছিআদিবাদের বাড়ি যাব। অনেক যায়গা চলে আসছিনিজের বাইকে ড্রাইভ করে। মনের ভিতর অন্য রকমঅনুভুতি বইছে। অনেকদিন পর আদিবার সাথেদেখা করতে যাচ্ছি। আদিবাদের বাড়ি থেকে একটুদূরে রাস্তায় এস্কিডেন্ট করি
শরীরের অনেক যায়গায় চোট পেয়ে যাই। কোনোরকম আদিবাদের বাড়ি যাই। সব কিছুই ডেকেরেখেছি। বেশির ভাগ পায়ে চোট পাই। কিন্তুআদিবার বাবার কথা রাখার জন্য যাই। ওনাকেআমিও কথা দিয়েছিলাম। একটি রুমে বসে আছি।হটাৎ আদিবা সেই রুমে আসে।
আমাকে দেখে অবাক হয়ে যায়।
তুমিআর আমাদের বাড়িতে কেন?(আদিবা)
হা আমি।আমি)
হটাৎ আদিবার বাবা মা এসে বললেন এই সেইছেলে। যাকে আমরা পছন্দ করে রেখেছি। আদিবাবলতে লাগলো বাবা তোমার সব কথা শোনেআসছি। কিন্তু আজ শোনবো না। আর এই ছেলেরসাথে আমি কখনো সংসার করবোনা। সে তোআমার যোগ্য না।
আদিবার বাবা বলতে লাগলেন। বাহ বাহ তুই থাকেঘৃণা করবে যে তোর সব সময় খেয়াল রেখেছে। তুইথাকে অযোগ্য বলবে যে তোকে যোগ্যতায় নিয়েএসেছে। তুই থাকে অযোগ্য বলছিস যে তোরপড়ালেখার সব খরছ চালিয়েছে  তোর পরিবারেরসব সময় পাশে ছিলো।
আদিবা আমার দিকে চেয়ে কান্না করছে  বলছেসরি আমাকে ক্ষমা করে দাউ। তোমাকে অনেকবাজে কথা শোনিয়েছি।
সেই সময় আদিবার বাবা মা রুম থেকে চলে যায়।টান দিয়ে বুকের ভিতর নিলাম। আমি বলতেলাগলাম পাগলি শোন তোকে অনেক ভালোবাসি।তাই যেদিন বলছিলে আমাকে সব কথা। তখনআমি তোর সপ্ন পুরন হওয়ার জন্য অনেক কিছুকরেছি।
একমাএ তোকে অনেক ভালোবাসি বলে। অনেকঅনেক ভালোবাসিরে পাগলী তোকে। আমিওঅনেক অনেক ভালোবাসি তোমাকে। কয়েকদিনপর আমাদের বিয়ে হয়ে যায়। আমার লক্ষীবউটাকে নিয়ে অনেক সুখে আছি

Comments